ভারতের হঠাৎ গম রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছি। কারণ, এ বছর তারা এক কোটি টন গম রপ্তানি করার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিল। সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়ার আগেই রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার খবর এল। গম আমদানিকারক দেশ হিসেবে এই খবর আমাদের জন্য দুশ্চিন্তার। তবে সরকার যথাযথ উদ্যোগ নিলে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার এ ধাক্কা কাটাতে সমস্যা হবে না বলে আমার মনে হয়। এ জন্য সরকারকে দুটি সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
ভারত সরকারের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, নিষেধাজ্ঞার আগে ঋণপত্র খোলা হয়েছে, এমন গম আসতে বাধা নেই। নিয়ম অনুযায়ী, আমদানির ঋণপত্র খোলার আগে সরবরাহকারীদের সঙ্গে চুক্তি করতে হয়। ভারতীয় সরবরাহকারীদের সঙ্গে আমাদের ব্যবসায়ীদের চুক্তি করা হয়েছে, এমন গমের পরিমাণ আনুমানিক পাঁচ লাখ টন হতে পারে। চুক্তি করা গম যাতে দেশে আনা যায়, তার উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকে। নিষেধাজ্ঞার প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্রতিবেশী দেশগুলো, যারা নিজেদের খাদ্যনিরাপত্তার চাহিদা পূরণের চেষ্টা করছে, তাদের অনুরোধে গম রপ্তানির অনুমতি বিবেচনায় থাকবে।
এখন ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে প্রথমে চুক্তি করা গম যাতে আসে, সে ব্যবস্থা নিতে হবে আমাদের সরকারকে। এটা নিশ্চিত করা গেলে দাম বাড়লেও আগামী দুই-চার মাস গমের জোগানে কোনো সমস্যা হবে না। কারণ, আমাদের দেশীয় ফলন উঠছে এখন। আবার তিন-চার মাস পর বিভিন্ন দেশে ফলন আসবে। পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলো, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের ফলন আসবে বাজারে।