যে শাড়ির হাটে ৪৫০ টাকায় মিলবে দেশীয় ব্র্যান্ডের শাড়ি

জানা গেল, এই হাটের বেশির ভাগ শাড়িই একসময় মানিকগঞ্জ থেকে আসত। মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার বড়াইদ ইউনিয়নের সাভার গ্রামে তাঁতপল্লি থেকে এখনো শাড়ি আসে, তবে সংখ্যায় কম। শাড়ির চাহিদা ও জনপ্রিয়তা দুটিই বেড়ে যাওয়ায় এখন বেশির ভাগ শাড়ি টাঙ্গাইল থেকে আনেন বিক্রেতারা। আর গুণগত মানেও মানিকগঞ্জের চেয়ে টাঙ্গাইলের শাড়ি ভালো, মনে করেন তাঁরা।
তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, পারিবারিকভাবে অনেকেরই তাঁত ছিল। যেখানে তাঁদের বাবা-দাদারাই বুনতেন শাড়ি। তবে এখন শাড়ি কিনে এনে বিক্রি করা হয়। কারণ, এখন পাওয়ার লুমেই কাজ বেশি হয়। ব্যয়বহুল হওয়ায় সবার বাড়িতে পাওয়ার লুম বসানো সম্ভব নয়। এ জন্য টাঙ্গাইল থেকে শাড়ি কিনে বিক্রি করাটাই তাঁদের কাছে সহজ বলে মনে হয়।
কীভাবে এখানে শাড়ির হাট শুরু হয়েছিল, জানতে চাইলে দোকানিরা জানান, টাঙ্গাইলের এক তাঁতির (নামটা সঠিক কেউ বলতে পারলেন না) বোন পরতেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। যখনই বোনের সঙ্গে দেখা করতে আসতেন, বিক্রির উদ্দেশ্যে কিছু শাড়িও নিয়ে আসতেন। দ্রুত সব শাড়ি বিক্রি হয়ে যেত। এরপর বেশি পরিমাণে শাড়ি নিয়ে এসে কোনো একটা গাছের নিচে মাদুর পেতে বিক্রি করতেন সেই তাঁতি। সেই শুরু। তাঁর দেখাদেখি অনেকেই তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে শাড়ি বিক্রি শুরু করেন।