লেখক, গবেষক ও কৃষিবিদ জয়নাল হোসেন আর আমাদের মাঝে নেই। মঙ্গলবার বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে মিরপুর আহ্ছানিয়া ক্যানসার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
গতকাল সকালে মিরপুর শেওড়াপাড়ায় প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কুরেরপাড় গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।
তার প্রকাশিত ১৪টি বইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো রাজা ভাওয়াল সন্ন্যাস ও ভাওয়াল পরগনা, মানুষপুত্র গৌতম, প্রেমিক ভ্যান গঘ, মাথিনের কূপ, প্রাঙ্গণে মোর: টোকা ডায়েরির পাতা থেকে, বাঙালি হিরো ও হিরো অব বেঙ্গল, গুণের ঘরে শূন্য: ব্যতিক্রমী আটজন, এবং পেরিয়ার ই.ভি. রামাস্বামী।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি স্ত্রী, এক পুত্র এবং এক কন্যাসন্তান রেখে গেছেন।
জয়নাল হোসেন ১৯৫৩ সালের ১১ আগস্ট কুমিল্লার মুরাদনগরের কুরেরপাড় গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন তালেব হোসেন এবং মাতা মাফেজা খাতুন। ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করে তিনি ১৯৭৭ সালে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন। চাকরিজীবনে তিনি থাইল্যান্ডের মাহিদোল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ইনস্টিটিউটে উন্নত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
তিনি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের আজীবন সদস্য এবং জাতিসংঘ সমিতি বাংলাদেশের সদস্য ছিলেন।
জয়নাল হোসেনের মৃত্যুতে সাহিত্য ও কৃষি ক্ষেত্রে অপূরণীয় ক্ষতি হলো। তার অবদান আমাদের স্মরণীয় হয়ে থাকবে।