ফ্লু প্রতিরোধে ভালো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া ফ্লু ভাইরাস দূর করতে সাহায্য করে। সাবান না থাকলে, অ্যালকোহল-ভিত্তিক হ্যান্ড স্যানিটাইজারও ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে বেশ কার্যকর।
ফ্লু মৌসুম সামনে চলে এসেছে, আর এই সময়ে নিজেকে ফ্লু থেকে রক্ষা করা এবং অন্যদের সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি কমাতে কিছু অভ্যাস মেনে চলা প্রয়োজন। নিচে সেই অভ্যাসগুলো উল্লেখ করা হলো, যা আপনাকে এই মৌসুমে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে।
১. ভ্যাকসিন গ্রহণ করুন
ফ্লু থেকে বাঁচার সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি হলো ফ্লু ভ্যাকসিন নেওয়া। সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (CDC) জানায়, ইনফ্লুয়েঞ্জার ভ্যাকসিন ফ্লুর তীব্রতা কমায় এবং হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি হ্রাস করে। প্রতিবছর নতুন ফ্লু স্ট্রেইন তৈরি হয়, তাই প্রতিবছর ভ্যাকসিন নেওয়া জরুরি। বিশেষত শিশু, প্রবীণ এবং দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতায় ভোগা ব্যক্তিদের মৌসুমের শুরুতেই এটি গ্রহণ করা উচিত।
২. ভালো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন
ভালো স্বাস্থ্যবিধি ছাড়া ফ্লু প্রতিরোধ অসম্পূর্ণ। সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার মাধ্যমে ফ্লু ভাইরাস দূর করা যায়। সাবান না থাকলে, অ্যালকোহল-ভিত্তিক হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন, কারণ এগুলো থেকে ভাইরাস সহজেই শরীরে প্রবেশ করে।
৩. সুস্থ জীবনযাপন বজায় রাখুন
শক্তিশালী ইমিউন সিস্টেম ফ্লু থেকে বাঁচতে সাহায্য করে। সুষম খাবার খান, যেখানে ফলমূল, শাকসবজি এবং লীন প্রোটিন থাকে। পর্যাপ্ত পানি পান, নিয়মিত ব্যায়াম এবং সঠিক পরিমাণ ঘুম আপনার ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। মানসিক চাপ কমানোও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
৪. অসুস্থ হলে বাড়িতে থাকুন
ফ্লু হলে অন্যদের থেকে দূরে থাকুন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং উপসর্গ থাকাকালীন সময়ে বাড়িতে থাকার অভ্যাস ফ্লুর বিস্তার রোধে কার্যকর। জনবহুল স্থানে গেলে মাস্ক ব্যবহার করুন।
৫. হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন
শুকনো পরিবেশে ফ্লু ভাইরাস সহজে ছড়ায়। তাই ঘরে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন। এটি শ্বাস নিতে সুবিধা করে, সাইনাস কনজেশন এবং গলা ব্যথা কমায়।
৬. হারবাল প্রতিকার বিবেচনা করুন
ইকিনেসিয়া, এল্ডারবেরি এবং পেপারমিন্ট চায়ের মতো প্রাকৃতিক প্রতিকারগুলোও ফ্লু নিয়ন্ত্রণে কার্যকর হতে পারে।
৭. শরীর হাইড্রেট রাখুন
শরীরকে হাইড্রেট রাখা ফ্লু মৌসুমে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পানি, হারবাল চা এবং গরম স্যুপ পান করলে শ্লেষ্মা পরিষ্কার হয় এবং নাকের প্যাসেজ পরিষ্কার থাকে। পর্যাপ্ত পানি পানের ফলে ইমিউন সিস্টেম আরও কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে।
উপরোক্ত নিয়মগুলো মেনে চললে ফ্লু হওয়ার সম্ভাবনা কমবে এবং সংক্রমিত হলেও দ্রুত সেরে উঠতে পারবেন।