বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি মহান পদক্ষেপ নেন। তার লক্ষ্য হলো দেশের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের ভবিষ্যত জীবনের সুরক্ষা ও সামাজিক সমতা নিশ্চিত করা। এই উদ্দেশ্যে, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রকল্প প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন, যা বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়। পেনশন ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রবাসী, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা এই চারটি কর্মসূচির আওতে মানুষের জীবন সুরক্ষিত করা হবে।
প্রবাসীদের জন্য ‘প্রবাস’ কর্মসূচি আহ্বান করা হয়েছে, যেখানে তারা বৈদেশিক মুদ্রায় চাঁদা প্রদান করে। তবে মেয়াদ পূর্তির পর তারা দেশীয় মুদ্রায় পেনশন পাবেন। ‘প্রগতি’ কর্মসূচি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীদের জন্য উদ্বোধিত হয়েছে। এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের ৫০ শতাংশ চাঁদা চাকরিজীবী ও তাদের মালিকপক্ষের মধ্যে বিনিময় করতে হবে। যদি কোন প্রতিষ্ঠান এই স্কিমে অংশ নাও নিতে চায়, তবে ঐ প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা নিজ ইচ্ছায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।
সুরক্ষা কর্মসূচিতে ‘সুরক্ষা’ আহ্বান করা হয়েছে, যেখানে রিকশাচালক, কৃষক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে এবং স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিগণের জন্য পেনশন প্রদান করা হবে।
সমতা কর্মসূচিতে ‘সমতা’ কর্মসূচি প্রযোজ্য হবে নিম্ন আয়ের ব্যক্তিদের জন্য, যাদের বার্ষিক আয় ৬০ হাজার টাকার কম।
এই পেনশন ব্যবস্থা প্রকল্পের আওতে সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষ হলো জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ। এ প্রকল্পের আওতাধীন অর্থ বিভাগও সাহায্য করবে এবং তাদের চেয়ারম্যান হিসেবে অর্থসচিব কবিরুল ইজদানী খান নিয়োগ পেয়েছেন।
পেনশন ব্যবস্থা প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের ভবিষ্যত জীবনের সুরক্ষা ও সামাজিক সমতা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এই পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ নেন, যা দেশের জনগণের জীবনে আরও উন্নতি এনে দিতে পারে।