• বৃহস্পতি. নভে. 21st, 2024

সামরিক সহযোগিতা জোরদার করছে অস্ট্রেলিয়া-যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান

সামরিক সহযোগিতা জোরদার করছে অস্ট্রেলিয়া-যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানসামরিক সহযোগিতা জোরদার করছে অস্ট্রেলিয়া-যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান

অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্র তাদের সামরিক সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করতে একসাথে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চীনের সামরিক শক্তির মোকাবিলায় এই তিন দেশ তাদের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক গভীর করছে।

অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রিচার্ড মার্লেসের আয়োজনে রোববার অস্ট্রেলিয়ায় প্রথমবারের মতো ত্রিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে অংশ নেবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এবং জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল নাকাতানি।

নতুন চুক্তি অনুযায়ী, জাপানের এলিট মেরিন ইউনিট অ্যাম্ফিবিয়াস র‌্যাপিড ডিপ্লয়মেন্ট ব্রিগেড নিয়মিত প্রশিক্ষণ এবং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনের উপকূলে অবস্থান করবে। সেখানে তারা অস্ট্রেলিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের সাথে যৌথভাবে কাজ করবে।

মার্লেস বলেন, “এই চুক্তি আমাদের তিন দেশের প্রতিশ্রুতির একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে, যা এই অঞ্চলে এবং সারা বিশ্বে পৌঁছাবে।”

তিনি আরও যোগ করেন, “এই উদ্যোগ আমাদের তিন দেশের মধ্যে সামরিক কার্যক্রমে একে অপরের সাথে সহজে কাজ করার সামর্থ্য তৈরি করবে।”

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, এই অংশীদারিত্ব তিন দেশের মধ্যে গোয়েন্দা নজরদারি এবং পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম উন্নত করবে এবং একটি নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল গঠনে সহায়তা করবে। তিনি আরও বলেন, “আমাদের অফিস এই অঞ্চলে জোটকে শক্তিশালী করতে এবং একটি মুক্ত ও স্বাধীন ইন্দো-প্যাসিফিকের দৃষ্টিভঙ্গি ভাগ করে নেওয়া দেশগুলোর সাথে কাজ করতে গর্বিত।”

সিডনি থেকে এএফপি জানিয়েছে, চীনের ক্রমবর্ধমান শক্তির মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের মিত্র অস্ট্রেলিয়া তার সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়া দ্রুত তার নৌবহর উন্নত করার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের সাথে স্বাক্ষরিত একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি (AUKUS) এর আওতায় গোপন পরমাণু-শক্তি চালিত সাবমেরিন মোতায়েনের পরিকল্পনা করেছে।

যদিও কিছু বিশ্লেষক আশঙ্কা করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় ফিরে তার ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিতে ফিরে গিয়ে এই চুক্তি বাতিল বা নতুনভাবে আলোচনা করতে পারেন।

তবে অস্ট্রেলিয়ার কর্মকর্তারা এই মাসে জানিয়েছেন, তারা চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে “খুব আত্মবিশ্বাসী।”