• বৃহস্পতি. নভে. 21st, 2024

বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানি করতে অনিচ্ছুক ব্যবসায়ীরা

Byএনামুল হক

মে 14, 2024

যুক্তরাষ্ট্র ডলারের উল্লেখযোগ্য মূল্যবৃদ্ধি এবং ভারতের রপ্তানি শুল্ক আরোপের পরিপ্রেক্ষিতে, বাংলাদেশে ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ আমদানি করতে অনিচ্ছুক হয়ে পড়েছেন। এই পরিস্থিতি দেশের বাজারে পেঁয়াজের দামের বৃদ্ধি ঘটিয়েছে, কারণ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আমদানি হ্রাসের সুযোগ নিচ্ছেন। এক কেজি পেঁয়াজের দাম সপ্তাহান্তে ৭০-৭৫ টাকা থেকে বেড়ে ৮০-৮৫ টাকায় পৌঁছেছে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর (ডিএএম) এবং ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, এক মাসের মধ্যে পেঁয়াজের দাম ২৩-২৮ শতাংশ বেড়েছে, যা সর্বোচ্চ ফসল সংগ্রহ এবং প্রাথমিক বাণিজ্যিক সময়ের সাথে মিলেছে। ভারত কিছু দেশে, যার মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে, রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলেও, দেশীয় বাজার স্থিতিশীল রাখতে ৪০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেছে এবং প্রতি টন পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য (এমইপি) ৫৫০ ডলার নির্ধারণ করেছে।

দিনাজপুরের একজন আমদানিকারক উল্লেখ করেছেন যে, এমইপি এবং রপ্তানি শুল্কের সম্মিলিত প্রভাব পেঁয়াজের ন্যূনতম মূল্য প্রতি টনে ৭৭০ ডলার পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্র ডলারের মূল্যবৃদ্ধি পেঁয়াজ আমদানির খরচ আরও জটিল করে তুলেছে। আমদানিকারক ধারণা করেছেন যে, বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী প্রতি কেজি পেঁয়াজের খরচ ৯১-৯৯ টাকা হতে পারে। ফলে, বর্তমানে বেসরকারি খাত থেকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। পূর্বে বাংলাদেশ সরকার ভারতকে ৫০,০০০ টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিতে অনুরোধ করেছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে, ভারত সরকারীভাবে ১,৬৫০ টন পেঁয়াজ বাংলাদেশে সরবরাহ করেছে, যা টিসিবি দ্বারা ভর্তুকি মূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।

স্থানীয় বাজারের পরিস্থিতি
বাজার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কারণে সাধারণ ভোক্তারা চাপে পড়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়ার পরও পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল করতে বেসরকারি খাত থেকে আমদানি বাড়ানো প্রয়োজন। অন্যান্য দেশ থেকেও পেঁয়াজ আমদানির পরিকল্পনা করা হচ্ছে, যাতে বাজারের চাহিদা পূরণ করা যায় এবং দামের উপর চাপ কমানো যায়।

পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির সাথে সাথে, অন্যান্য খাদ্যপণ্যের দামেও প্রভাব পড়ছে। সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাচ্ছে, যা সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। সরকার এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে সমন্বয় বাড়িয়ে পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল করতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।