হঠাৎ লন্ডন সফরে সিলেটের সাবেক মেয়র আরিফুল, নানা আলোচনা

এদিকে বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, আরিফুলের ব্যাপক জনসমর্থন থাকলেও স্থানীয় বিএনপির প্রভাবশালী বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে তাঁর মনস্তাত্ত্বিক দূরত্ব ও বিরোধ আছে। এ ছাড়া জাতীয় নাকি স্থানীয় কোন নির্বাচনে তাঁকে দল প্রার্থী করা হতে পারে, সেটাও আরিফুল এখন পর্যন্ত নিশ্চিত নন। এ জন্য আরিফুলের মধ্যে একটা দোলাচাল আছে। এ সংশয় দূর করতেই তিনি লন্ডনে গেছেন বলে দলের অনেকে মনে করছেন।
বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আরিফুল মূলত সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চান। তাঁর প্রথম পছন্দ সিলেট-১ আসন। তবে এখানে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদীর। বিএনপির প্রভাবশালী এই নেতা আগামী নির্বাচনেও এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ইচ্ছুক। ফলে মুক্তাদীরকে ডিঙিয়ে আরিফুলের এখানে প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে কম। এ ক্ষেত্রে আরিফুলকে সিলেট-৪ (গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুর) আসনে প্রার্থী করা হতে পারে বলে দলের ভেতরে আলোচনা আছে।
অন্যদিকে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে আরিফুল হক চৌধুরী দলীয় মনোনয়ন পেতে পারেন বলে নেতা-কর্মীদের মধ্যে চাউর আছে। যদিও এখানে দলের ভেতরে তাঁর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী আছেন। তাঁরা হচ্ছেন সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সিটি করপোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী।