ব্রেকিং নিউজ

সরকারের দুর্বলতা কাটাতে কেন বেসরকারি খাত থেকে নিয়োগ নয়

এরপর আসে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের কথা। ফ্যাসিস্ট সরকারের ধসিয়ে দিয়ে যাওয়া আর্থিক খাত, বিশেষ করে ব্যাংক খাতকে দাঁড় করাতে কী প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। দারুণ কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। তাঁরা সফলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন; কারণ, তাঁরা আমলাতন্ত্রকে কীভাবে পরিচালনা করতে হয়, তা জানেন, যা দেশের বাইরে থেকে জানা বেশ কঠিন।

বিডা চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরীর যোগ্যতা নিয়ে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই। তিনি নিজেও এই আমলাতন্ত্র নিয়ে কথা বলছেন। তাঁর সব চেষ্টা সত্ত্বেও গত ছয় মাসে দেশের বিনিয়োগ কমছে। বাস্তবতা হচ্ছে সরকারে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের পর লুৎফে সিদ্দিকীর মতো আরেকজন ব্যক্তিত্ব থাকা সত্ত্বেও বড় কোনো সাফল্য আমরা দেখতে পাচ্ছি না। কারণ, তাঁদের একার পক্ষে সফল হওয়া সম্ভব নয়। তাঁদের প্রেজেন্টেশন দেশের আমলাদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। বিনিয়োগ সম্মেলনে অন্য সরকারি কর্মচারীদের ইংরেজি শুনে অনেককেই উঠে যেতে দেখেছি। চিন্তা করেন তো, আশিক চৌধুরীর জায়গায় একজন সচিব যদি বসে থাকতেন, তাহলে কী হতো? তাঁদের ‘কান্ট্রি ব্র্যান্ডিং’ তো আমরা গত ৫০ বছরেই দেখে আসছি।

বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গাতেই স্রেফ বয়স ও পদে সিনিয়র বিবেচনায় বিভিন্ন স্পেশালাইজড প্রতিষ্ঠানের পদে কাউকে নিয়ে বসানো হয়, তাতে ওই সেক্টরে কারও স্পেশালাইজড এক্সপার্টিস আছে কি না, এটা মোটেই বিবেচনার বিষয় নয়। কয়েক বছর আগে স্পারসোর সর্বোচ্চ পদে আসীন—এমন একজন সচিবকে নিয়ে সমালোচনা শুরু হলো খুব, যখন দেখা গেল মানুষটা ছিল কৃষিতে স্নাতকোত্তর এবং পরবর্তী সময়েও তাঁর কাজের সঙ্গে সঙ্গে স্পারসোর দায়িত্ব নেওয়ার মতো কোনো অভিজ্ঞতা নেই।

এভাবেই যেখানেই ওপরের পোস্ট হয়, অনভিজ্ঞ আমলা থেকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ফলাফল তো হাতের সামনেই। কিন্তু বিশেষায়িত খাত, যেমন বিনিয়োগ সেক্টর, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইসিটি, জনস্বাস্থ্য, ব্যাংকিং, শেয়ারবাজার, বিদ্যুৎ, ওয়াসা, সড়ক ও যোগাযোগব্যবস্থা, পর্যটন, পানি ব্যবস্থাপনা, সড়ক পরিকল্পনাসহ নানা রকম গুরুত্বপূর্ণ খাতের শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে থাকা তো উচিত নিজ নিজ খাতে অভিজ্ঞ মানুষদের। সেটা হতে পারে সরকারি খাত থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ বা প্রবাসী অথবা দেশীয় বেসরকারি খাতের বিশেষজ্ঞ।

Source

Related Articles

Back to top button