আন্তর্জাতিক

না, চীন কোনো ‘নতুন সোভিয়েত ইউনিয়ন’ নয় | মতামত

যুক্তরাষ্ট্রকে চীনের বিরুদ্ধে কৌশল বদলাতে হবে, বলছেন বিশ্লেষক মোহাম্মদ সোলাইমান

চীন সোভিয়েত ইউনিয়ন নয়। তাই সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত কৌশল চীনের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করলে তা ব্যর্থ হবে। এমন মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক মোহাম্মদ সোলাইমান। সম্প্রতি নিউজউইক-এ প্রকাশিত তার এক মতামতভিত্তিক প্রতিবেদনে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের চীনবিষয়ক নীতিকে ‘পুরনো ছাঁচে ঢালা’ উল্লেখ করে কড়া সমালোচনা করেন।

চীন বনাম সোভিয়েত ইউনিয়ন: ভিন্ন বাস্তবতা

সোলাইমান যুক্তি তুলে ধরেন, সোভিয়েত ইউনিয়ন ছিল একটি বিচ্ছিন্ন সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র যার অর্থনীতি স্থবির ছিল এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ছিল সীমিত। সেই তুলনায় চীন একটি বিশ্বায়িত, প্রযুক্তিনির্ভর এবং আধুনিক রাষ্ট্র, যার রয়েছে শক্তিশালী অর্থনীতি ও বৈশ্বিক প্রভাব।

“চীন এখন বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিল্প উৎপাদন কেন্দ্র। এটি শুধু অর্থনীতিতে নয়, প্রযুক্তিতেও এগিয়ে গেছে—যেমন ৫জি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বৈদ্যুতিক গাড়ি ও রোবোটিক্সে তাদের অবস্থান শীর্ষে,” — মোহাম্মদ সোলাইমান, আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক।

‘ঘেরাও ও ধ্বংস’ কৌশল এখন আর কার্যকর নয়

বিশ্লেষক মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র এখনো সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত কৌশল—contain and crush—চীনের ওপর প্রয়োগ করতে চায়। তবে আজকের বৈশ্বিক বাস্তবতা ১৯৫০ কিংবা ১৯৮০-এর মতো নয়। যুক্তরাষ্ট্রের একক আধিপত্য আর নেই।

“চীনের সঙ্গে আজ বহু দেশ অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বে আগ্রহী। তাই যুক্তরাষ্ট্র আগের মতো সহজে বৈশ্বিক মিত্রজোট গড়তে পারছে না,” — সোলাইমান

তিনি আরও বলেন, চীনকে মোকাবেলা করতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে নিজস্ব ভেতরের শক্তি বাড়াতে হবে। কৌশলগত শিল্পোন্নয়ন, প্রযুক্তিতে উদ্ভাবন, এবং সমাজে সহনশীলতা বাড়ানোর ওপর জোর দিতে হবে।

যুদ্ধ নয়, প্রতিযোগিতা হোক প্রযুক্তি ও অর্থনীতির

সোলাইমানের মতে, এই প্রতিযোগিতা আদর্শভিত্তিক নয়; বরং এটি একটি প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতা।

“চীন নতুন সোভিয়েত ইউনিয়ন নয়। এখন ১৯৫৫ সাল নয়—এখন ২০২৫ সাল। সেই অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলও বদলাতে হবে।”

সূত্র:

Related Articles

Back to top button